সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যু কমেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৪৫
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৭:৪৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অতীতের তুলনায় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে দুই দেশের সীমান্তে বাংলাদেশিদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। কিছুদিন আগে আমি যখন ভারত সফরে গিয়েছিলাম, তখন আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছি, যাতে সীমান্তে প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা যায়। অতীতের তুলনায় এখন প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্রের ব্যবহার বেড়েছে।’

লালমনিরহাট ও নওগাঁয় সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের কোনো ঘটনা যেন না ঘটে তা তারা দেখতে চান।

বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ টহল, নজরদারি, জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি জোরদার, অপরাধী বা বাসিন্দাদের সীমান্ত অতিক্রম রোধ এবং তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের সংখ্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সম্মত হয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু বিজিবি ও বিএসএফ সম্পৃক্ত রয়েছে, তারা মনে করে সীমান্ত সমস্যার সমাধান হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট খবর


বাগেরহাটের দুই ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাটের ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ সোমবার ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজিকে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি আশরাফুল আলম ও বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সেই সঙ্গে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এবং ডিবির ওসির দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।


কাল ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দুই দিনের সফরের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আজ সোমবার পেনি ওং এক মিডিয়া নোটে বলেন, ‘একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায়, এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পেরে আমি আনন্দিত।’

তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানব পাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধান করার লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধাদি প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি। একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা আশা রাখি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিণিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করছি। আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র।’


দাবি না মানলে কর্মবিরতিতে যাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঢাবি প্রতিনিধি

সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন। এই সময়ের মধ্যে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হলে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে মানববন্ধন এবং কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভূঁইয়া। সম্মেলনে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা বা তাদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং তার পরবর্তী সময়ে যারা চাকরিতে নতুন যোগ দেবেন তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এরপর থেকেই এই স্কিম থেকে পাবলিক শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সবশেষ গতকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে তিনটি কর্মসূচি ঘোষণা করেন দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কর্মসূচি হলো, আগামী ২৫ মে তারিখের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো ধরনের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ২৬ মে, সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষকরা একযোগে সকাল ১১টা থেকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবেন। দ্বিতীয় কর্মসূচি, আগামী ২৮ মে সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবেন।’

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যেও দাবি না মানা হলে আমাদের তৃতীয় কর্মসূচি, আগামী ৪ জুন সারা দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালসমূহের শিক্ষকরা অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসমূহ এসব কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আর এই সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে ওই দিনই আন্দোলনের বৃহত্তম কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

নিজামুল হক ভুঁইয়া বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ধারণা প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণমুখী চিন্তার ফসল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রবর্তনের মাধ্যমে সরকারি চাকরির বাইরে থাকা নাগরিকদের পেনশন স্কিমের আওতায় আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি; কিন্তু সরকারের এমন মহৎ উদ্যোগ যখন প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা না করে গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া স্বায়ত্তশাসনকে অবজ্ঞার শামিল।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী যেদিন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না। হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছেন। আমরা আশা করব, অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান সেশনজটমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ অব্যাহত রাখতে সহায়তা করবেন।’


কাতারের মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদে‌শি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক

কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রী ইব্রাহীম বিন আলী আল মহাননাদীর স‌ঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রী ইব্রাহীম বিন আলী আল মহাননাদীর স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে‌ছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম।

দোহার স্থানীয় সময় গতকাল রোববার কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদবিষয়ক মন্ত্রীর দপ্তরে হওয়া বৈঠকে দুই দে‌শের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত কাতারের মন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও কাতারের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সংক্ষেপে অবহিত করেন। তিনি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে কাতারের আমিরের বাংলাদেশে অত্যন্ত সফল সফরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে আলোচনা করেন।

এ ছাড়া বৈঠকে গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাতারে পরপর দুটি সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আমিরের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। তিনি কাতারের আইন ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ন্যায্যবিচার নিশ্চিতে কাতারের বিচার মন্ত্রীর সহযোগিতা চান।

রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, দূতাবাস নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাতারের আইনের পরিবর্তনগুলো জানিয়ে থাকে।

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার আইনবিষয়ক সহযোগিতা সম্পর্কিত স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে চুক্তিটির অনুসমর্থন ত্বরান্বিত করা এবং এর আলোকে একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে কাতারের মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

কাতারের মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি কাতারের আমিরের সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে আইন বিষয়ে সহযোগিতা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং চুক্তি কার্যকরে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

এ ছাড়া তিনি এ বিষয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে কাতারে বিচার মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসের ফোকাল পয়েন্ট নিয়োগের মাধ্যমে বিষয়টি সমন্বয় ও কার্যকরের পরামর্শ দেন।

দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. ওয়ালিউর রহমান ও প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ্ আল রাজীসহ কাতারের বিচার ও মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিষয়:

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ

সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, সাক্ষাৎকালে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতের নির্দেশ দেন। ডিগ্রি অর্জনের পর শিক্ষার্থীরা যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেই লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর তাগিদ দেন আচার্য।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণা কার্যক্রম আরও বাড়ানোরও আহ্বান জানান। এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।


অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের দাবি বিএফইউজের

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) অবিলম্বে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের জন্য ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতি দাবি জানিয়েছে।

আজ সোমবার বিএফইউজের ঢাকায় অবস্থানরত নেতাদের এক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়। বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর সংগঠনের প্রতিনিধি সম্মেলনে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠনের নির্দেশ দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারেও এ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহসভাপতি মধুসূদন মণ্ডল, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সেবিকা রানী ও নুরে জান্নাত আখতার সীমা।

সভায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) নির্বাচন পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সদস্য কেইউজের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান ও এস এম জাহিদ হোসেন।

নেতারা সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম কর্মীদের রুটি-রুজি, নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিতে সাংবাদিক-শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা খুব শিগগিরই রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি শুরু করবেন বলে সভায় জানানো হয়।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

আজ সোমবার ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারের কাছে পাঠানো এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বিভিন্ন সংকটে প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী পদক্ষেপ ও তার সাহস আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার মডেল হয়ে থাকবে।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে ইরান একজন জ্ঞানী ও বিজ্ঞ নেতাকে হারালো।’

এর পর তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি সমবেদনা জানান।


ভারত থেকে ট্রেনের ২০০ বগি কিনছে বাংলাদেশ

রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে সোমবার রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিমের উপস্থিতিতে আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে ২০০ বগি কেনার চুক্তি সই করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২০ মে, ২০২৪ ১৮:২২
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী বগি কেনার চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সবধরণের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ২০ মাস পর থেকে বগি দেওয়া শুরু হবে এবং ৩৬ মাসে মধ্যে সব বগি হস্তান্তর করা হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর রেলওয়ে ভবনে এই চুক্তি সই করা হয়।

রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে তারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। আগামী দুইমাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হয় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে। রেলের কর্মকর্তারা স্লো। এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে।’

রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। এর ফলে এসব প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ রেল যোগাযোগকে ত্বরান্বিত করবে।’

মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেওয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’

রেলওয়ে বলছে, ‘বগিগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি থাকবে এবং পরিবেশবান্ধব হবে। এই বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।’

রেলওয়ে নিজস্ব নথি থেকে জানা যায়, সারা দেশে রেলের নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে পড়লেও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। রেলওয়ে আশা করছে এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রকল্প দুটি পরিপূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে যাত্রী বহনের সুবিধা বাড়বে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম, রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অফ করপোরেশন মিচেল ক্রেজা ও রেলওয়ের কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চায় কানাডা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে রোববার পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

পররাষ্ট্রস‌চিব মাসুদ বিন মো‌মে‌নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে. থো‌পিল। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্রস‌চি‌বের দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে তারা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পারস্পরিক প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেন। এ সময় দুই দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি দুই দেশের জনগণের স্বার্থে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য কানাডার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশের স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং ক্রমবর্ধমান বাজারের প্রশংসা করে তিনি বাংলাদেশে বিনিয়োগে কানাডার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডা সরকারের প্রথম ইনফো-প্যাসিফিক প্রতিনিধি হিসেবে থো‌পিলকে নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। মাসুদ বিন মো‌মেন আশা প্রকাশ করেন যে, তার নিয়োগ কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর উন্নয়নে অবদান রাখবে।

পররাষ্ট্রসচিব কানাডাকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ, ভূ-কৌশলগত অবস্থান এবং উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দেন।


বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অবদান রাখাসহ বিভিন্ন অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আজ সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই পদকের অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

প্রতি ২ বছর পর একজন ব্যক্তিকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। পদক পাওয়া ব্যক্তি ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া ৫০ গ্রাম ওজনের (চার ভরির বেশি) ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ পদকও দেওয়া হবে।

এ লক্ষ্যে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পদক নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বিষয়:

ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সারওয়ার-ই-আলম সরকারের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান এবং তাদের সঙ্গীরা নিহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মর্মান্তিক এ ঘটনায় বাংলাদেশ সরকার ও আমার পক্ষ থেকে ইরান সরকার ও সেদেশের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণকে গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জ্ঞানী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতা ছিলেন। তিনি তার দেশের জনগণের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও ছিলেন অনন্য উচ্চতায় এবং তার অনুকরণীয় নেতৃত্ব আমাদের জন্য আদর্শ।’

এ সময়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইরানের প্রেসিডেন্টসহ নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। পাশাপাশি ইরানের জনগণ এই শোক কাটিয়ে উঠবেন এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আগামী ৫ জুন বাজেট অধিবেশন শুরু

জাতীয় সংসদ। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় ও বাজেট অধিবেশন আগামী ৫ জুন শুরু হবে। বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে এ অধিবেশন বসবে বলে জানায় সংসদ সচিবালয়।

আজ সোমবার জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৯ সালের ২৯ জানুয়ারি।

সংসদ সচিবালয় জানায়, সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অধিবেশনে ভাষণ দেবেনে। পরে ওই ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে।

বিষয়:

আ.লীগ, শেখ হাসিনা ও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান

তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আ.লীগ ভবনে বক্তব্যকালে সালমান এফ রহমান। ছবি-সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৪ ২২:২৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি। তিনি বলেছেন, গত নির্বাচন নিয়েও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, বলা হয়েছিল- নির্বাচন হবে না, করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই নির্বাচনও আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই করতে পেরেছি। আগামীতেও সব ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে এক আলোচনা সভায় সালমান ফজুলর রহমান এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

সালমান এফ রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজকের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। যখনই বিদেশে যাই, সব জায়গা থেকেই জানতে চাওয়া হয়- বাংলাদেশ এত উন্নয়ন কীভাবে করতে পেরেছে? তাদের বলি- শেখ হাসিনার ম্যাজিকের কারণেই আমরা এই পর্যায়ে আসতে পেরেছি। শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে আমাদের কী অবস্থা হতো, সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আমাদের ভাগ্য ভালো- তার মতো একজন নেতা ও প্রধানমন্ত্রী আমরা পেয়েছি।

তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্নস্থানে যুদ্ধের জন্য আমরা দায়ী না হলেও এর প্রভাব আমাদের ওপরও পড়েছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে। আরেকটা চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রযুক্তি। আগামীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স আসছে। যার মাধ্যমে এমনসব বক্তব্য প্রচার করা হবে, যেটা সম্পূর্ণ ভুয়া। এটাও বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি মোকাবিলায়, আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সেটাও শিখতে হবে।

আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, পাঁচ বছর অনেক সময় মনে হলেও দেখতে দেখতে শেষ হয়ে যাবে। তাই এখন থেকেই আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এদেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ কেউ বিএনপি করে। আবার অনেকে নিরপেক্ষ আছে। আমাদের কাজ নিরপেক্ষদের মন জয় করা। এটা তখনই সম্ভব, যখন আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, দেশের মানুষ যখন স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে, তখনও বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরা গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির যারা অংশ নিচ্ছেন, তাদের বহিষ্কার করছে দলটি। এমনকি যারা জিতেছেন, তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। তবে আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটানো যায় না। ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচন করেই আসতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৫ বছর আগে আমরা কোথায় ছিলাম, আর আজ কোথায় আছি। এই সবকিছুর কারিগর শেখ হাসিনা। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আর কোনো হতদরিদ্র মানুষ থাকবে না। বছর পাঁচেকের মধ্যেই হতদরিদ্র মানুষ দেখতে হলে এদেশের তরুণসমাজকে জাদুঘরে যেতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে যাবো।

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এমপি, মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত, ঢাকা-১৯ আসনের এমপি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. এনামুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আলম সমর, সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাকুর রহমান সাকো, দোহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া প্রমুখ।


banner close